প্রকাশ্যে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও বিপণনের মাধ্যমে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে দুই তরুণ-তরুণীর বিরুদ্ধে। তবে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এই অবৈধ কার্যক্রমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সরাসরি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের আজিম ও মানিকগঞ্জের বৃষ্টি নামের এই যুগল শুধু পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তৈরি করেই ক্ষান্ত হননি, বরং একটি সংগঠিত উপায়ে এসব ভিডিও বিপণনেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। মাত্র এক বছরে তাদের ১১২টি ভিডিও আপলোড করা হয়, যা ২ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই অবৈধ কার্যক্রমে কিছু সাংবাদিকসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা মার্কেটিং ও প্রমোশনের দায়িত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই ভিডিওগুলোর প্রচার করতেন এবং নতুন দর্শক সংগ্রহ করতেন।
গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এই নেটওয়ার্কটি খুবই সংগঠিতভাবে কাজ করছিল, যেখানে ভিডিও প্রোডাকশন থেকে শুরু করে মার্কেটিং এবং অর্থ লেনদেনের জন্য আলাদা আলাদা দল ছিল। এই সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীটি কীভাবে কাজ করত এবং কারা কারা জড়িত ছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।
এ বিষয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান নিশ্চিত করেছেন যে, শুধু ভিডিও তৈরি নয়, বরং একটি সংগঠিত উপায়ে এসব ভিডিও বিপণনের অভিযোগও তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই কাজের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ কীভাবে দেশে আসত এবং কারা এই অর্থপ্রবাহে সহায়তা করতেন, তা নিয়ে গভীর তদন্ত চলছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা এই ঘটনাকে দেশের নৈতিক ও সামাজিক কাঠামোর জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সমাজের সকল স্তর থেকে এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আজিম ও বৃষ্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে এই নেটওয়ার্কের অন্যান্য সদস্যদের এবং গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন