নীলা ইস্রাফিলের ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরণ: ‘অজ্ঞান অবস্থায় আমার জীবনে ঢুকে পড়তে চেয়েছিল তুষার’ — প্রেম না কি ক্ষমতার লালসা?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক নেতা—নাগরিক আন্দোলনের বিতর্কিত মুখ নীলা ইস্রাফিলের সরকারি নথি ও ব্যক্তিগত যৌন-আকাঙ্ক্ষার গুঞ্জন মিলিয়ে তাদের রাজনৈতিক-বেসরকারি সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনার উত্পত্তি হয়েছে। নীলার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে যে অভিযোগ গর্জে উঠেছে, তা কেবল কাগজপত্রের জালিয়াতি নয় — অনেকের চোখে এটা ব্যক্তিগত আকর্ষণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের এক রঙিন গল্প।
নীলা দাবি করেছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় সম্পূর্ণ অজ্ঞান থাকার সুযোগ নিয়ে দলীয় নেতা সারোয়ার তুষার হাসপাতালের ভর্তি ফরমে স্বামীর নামের স্থলে নিজের নাম লিখেছেন — যা কেবল একটি ‘ভুল’ নয় বরং আইনি জালিয়াতি ও ব্যক্তিগত আঘাত। নিলার লেখায় বলা হয়েছে, “আমার অনুমতি ছাড়া আমার পারিবারিক পরিচয় বিকৃত করা মানে আমার সামাজিক সম্মান ও আইনি নিরাপত্তায় আঘাত।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কাগজে নাম বদলানো ঘটনা প্রশাসনিক ভুল হিসেবে দেখা গেলে গণমাধ্যমে তা নীরবে মিটে যেত। কিন্তু এই ঘটনাটির আগেএই জটিল সম্পর্কের সূত্র ধরে একটি ফোনকল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছিল — সেই রেকর্ড ও ফরম-ঘটনা একসাথে মিশে এখন গুঞ্জনে পরিণত হয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন—এখানে কি শুধু ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা, নাকি ক্ষমতার লোভ, ইচ্ছা ও প্রভাব খাটানোর পরিকল্পিত কৌশল লুকিয়ে আছে?
সারোয়ার তুষারের পাল্টা বক্তব্য: “হাসপাতালের ভর্তি ফরমে C/O লেখা ছিল — যে ব্যক্তি ভর্তি করিয়েছেন তাঁর নাম সেখানে লেখা হয়। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। আমি কি পাগল, আমি নিজে কেন নিজের নাম দেবো স্বামীর জায়গায়?”
তুষারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে হাসপাতালের নিয়ম-কানুন উল্লেখ করে তিনি নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নীলার পক্ষ থেকে দেওয়া আইনি ও মানবাধিকার-ভিত্তিক অভিযোগ—বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও দণ্ডবিধির প্রসঙ্গ — এখানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নীলার কথায়, এই ধরণের জালিয়াতি ভবিষ্যতে তাকে সামাজিক ও আইনগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পড়ে এমন উত্তরধাম শিশিরের মত ছড়িয়েছে—কিছু ব্যবহারকারী সরাসরি উল্লেখ করছেন যে এটি প্রেমের দাবি নয়, বরং শক্তি প্রদর্শনের কৌশল; আবার কেউ বলছেন এটিকে ‘অবৈধ ঘুষ’ বা রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর একটি হাতিয়ালোকেও বলা যেতে পারে।
এখন প্রশ্নটাই মনে গেঁথে যাচ্ছে—সত্য কী? কি হবে এই অভিযোগের পরবর্তী ধাপ? নীলা আইনি পথে গেলে কি তুষার বিরুদ্ধে সরকারি মামলার দায় দায়ের হবে, নাকি দলীয় অভ্যন্তরীণ তদন্তেই সব লোপাট হয়ে যাবে?
রাজনৈতিক মহলে এই কেসটি ঘিরে চাঞ্চল্যই বাড়ছে। ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতার লোভ আর প্রকাশ্য নথির মধ্যে সমান্তরালে ঘন ছক কষেছে—আর পাঠকরা চাইছেন বাস্তবের আড়াল থেকে সত্য বেরিয়ে আসুক। আমরা অনুসরণ করে আপডেট দেব—তখনই জানানো হবে কি আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে, এবং দলের প্রতিক্রিয়া কেমন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন