Home Top Ad

banner

🟥 “মব দিয়ে ক্ষমতা দখলের খেলায় নেমেছে এনসিপি?”

Share:
এনসিপি কি 'মব' দিয়ে ক্ষমতা কায়েম করতে চাইছে?

এনসিপি কি 'মব' দিয়ে ক্ষমতা কায়েম করতে চাইছে?

পাঁচই অগাস্টের পর থেকে একের পর এক মব হামলা, রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর, হুমকি – সবকিছুর পেছনে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নাম ঘুরেফিরে আসছে।

সর্বশেষ পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরকে প্রত্যাহারের ঘটনায়ও এই একই ছায়া দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে – একটি রাজনৈতিক দল কি এভাবে মব তৈরি করে ক্ষমতা দেখাতে পারে?

অনেকেই বলছেন, এনসিপি পরিকল্পিতভাবেই ‘মব’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। এই মব কখনো ছাত্রদের, কখনো শ্রমিকদের, আবার কখনো স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার রূপে হাজির হচ্ছে।

অবশ্য এনসিপির নেতারা এসব ঘটনাকে ‘প্রতিবাদী জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন’ বলে চালানোর চেষ্টা করছেন। তাদের দাবি, বছরের পর বছর আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নে মানুষের ক্ষোভ জমেছে, এখন তা ফুঁসে বের হচ্ছে।

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি নিছক ক্ষোভ নয়, বরং সুপরিকল্পিত ‘মব পলিটিক্স’। কারণ এনসিপি জানে, এই মুহূর্তে জনগণকে ভয় দেখানোই তাদের দ্রুত ক্ষমতার রাস্তায় যেতে সবচেয়ে সহজ উপায়। আর তাই মবকে ব্যবহার করে তারা বারবার প্রশাসন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সাধারণ মানুষকে তাদের শক্তির জানান দিচ্ছে।

এনসিপির একাংশ বলছে, দল হিসেবে তাদের গণতান্ত্রিক উপায়ে দাবি আদায়ের অধিকার আছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, প্রতিটি মবের পেছনে লুকিয়ে থাকা নেতৃত্ব, নির্দেশনা আর স্ট্র্যাটেজি এখন প্রকাশ্যে।

আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হলো – কোনো ঘটনায় অন্য রাজনৈতিক দলের লোকজন থাকলেও, এনসিপি তাদের ‘ছদ্মবেশে’ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ উঠছে। অর্থাৎ, মব কেবল বিক্ষুব্ধ জনতার স্বতঃস্ফূর্ততা নয়, বরং এনসিপির ক্ষমতা কায়েমের হাতিয়ার – এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কোন মন্তব্য নেই