Home Top Ad

banner

গোপালগঞ্জে শিশু গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা, সরকার নীরব কেন?

Share:

গোপালগঞ্জে ৯ শিশুর গ্রেপ্তার – রাষ্ট্রের নৃশংসতার নতুন রূপ!

✍️ প্যাকেজ সংবাদ | 🗓️ ২১ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর পুলিশের নামে যে নির্মম অভিযান চলছে, তা যেন মানবিকতার সব সীমা অতিক্রম করেছে। শিশুদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ৯ জন শিশু সহ ২৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ, কিছুদিন আগেই একটি পুলিশ হত্যার ঘটনায় আটক শিবির কর্মীকে ‘শিশু’ আখ্যা দিয়ে সমর্থনের ঝড় উঠেছিল! কিন্তু এবার গোপালগঞ্জের ৯ শিশু যখন রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার, তখন পুরো জাতি নীরব!

গত কয়েক দিনে গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে কারফিউ জারি রেখে ব্যাপক ধরপাকড় চালানো হয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১০০ জনকে পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখনো অন্তত ৯ শিশুকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে, যাদের রোববার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর ‘পরিকল্পনা’ করছে প্রশাসন।

এটা কেমন নৃশংসতা?

শিশু অধিকার আইন কি শুধুই আইনের বইয়ে? মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র নিন্দা সত্ত্বেও সরকারের বিবেক টলছে না। হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) একে প্রকাশ্য শিশু নির্যাতন আখ্যা দিয়ে বলেছে – “শিশুদের গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ বাংলাদেশের আইন ও মানবতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

এনসিপির পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার নামে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৫৪ নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত ৩০০-৩৫০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত শুক্রবার রাতেই নতুন করে ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের বক্তব্য বনাম বাস্তবতা

পুলিশ বলছে, “শিশুদের বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করা হচ্ছে।” – অথচ বাস্তবতা হলো শিশুরা কারাগারে বন্দি। এটা কেমন বিশেষ বিবেচনা?

১৬ জুলাই থেকে চলমান সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত, অসংখ্য বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। রক্ত, আগুন আর কান্নায় ভরা গোপালগঞ্জ আজ রাষ্ট্রের নীরব নৃশংসতার নাম।

বিশেষজ্ঞদের মত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “শিশুদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো একেবারেই অমানবিক। এটি শিশু অধিকার ও আইনের শাসনের সরাসরি লঙ্ঘন।”

এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অফিসিয়াল ব্যাখ্যা আসেনি। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন – ✔️ শিশুদের মুক্তি দিন।
✔️ নিরপেক্ষ তদন্ত করুন।
✔️ রাষ্ট্রের নামে এই বর্বরতা বন্ধ করুন।

কারণ, যে রাষ্ট্র শিশুদেরও ভয় পায়, সেই রাষ্ট্র আসলে নিজের ভয়েই ধ্বংস হবে।

✍️ প্রতিবেদন: প্যাকেজ সংবাদ

কোন মন্তব্য নেই