Home Top Ad

banner

ভিকারুননিসা: আলোচিত শিক্ষক মুরাদকে বিএনপি করার কারণে ফাঁসানো হয়েছিল?

Share:

                                       

ভিকারুননিসা: শিক্ষক মুরাদকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিথ্যা আন্দোলন ও আসল সত্য


                                         

বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আন্দোলন নতুন কিছু নয়। তবে কখনো কখনো কিছু আন্দোলন সত্যিকার অর্থে ন্যায্য হলেও, অনেক আন্দোলনই হয়ে যায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা তথ্যনির্ভর বা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত। সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মুরাদকে নিয়ে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেটির পেছনের গল্পও কিছুটা তেমনি।


কী ঘটেছিল?


শিক্ষক মুরাদ ছিলেন ভিকারুননিসার একজন সিনিয়র শিক্ষক। তার ক্লাসে শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করত এবং তিনি ছিলেন নিয়মিত, সময়নিষ্ঠ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ছাত্রীরা তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। অভিযোগ আনা হয়, তিনি নাকি শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন এবং নিয়ম ভেঙেছেন।

                                         

✅শিক্ষার্থীদের মিথ্যা আন্দোলন


যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থী জানেই না আন্দোলনের মূল কারণ কী। একাধিক সংবাদমাধ্যমে (যেমনঃ প্রথম আলো, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ) প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ ছিল:


📌 অনেক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, “আমরা      ঠিক জানি না কী হয়েছে, আপুরা বলেছে আন্দোলনে যেতে তাই গিয়েছি।”

(সূত্র: কালের কণ্ঠ, ২০২৩)


📌 কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থীই মূলত অভিযোগ ছড়িয়েছিল, বাকিরা না বুঝেই স্লোগান ধরেছিল।

(সূত্র: যুগান্তর, ২০২৩)


📌 অভিযোগের বিষয়ে যখন প্রমাণ চাওয়া হয়, তখন কলেজ প্রশাসন কিছুই দেখাতে পারেনি।

(সূত্র: প্রথম আলো, ২০২৩)

                                         


পরিকল্পিত অপপ্রচার?


তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধনও থাকতে পারে। শিক্ষক মুরাদ বিএনপি সমর্থক ছিলেন বলে কলেজের একাংশ তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করে। এরপর শিক্ষার্থীদেরও প্রভাবিত করা হয়।

“মুরাদ স্যার বিএনপি করেন, তাকে সরাতে হবে” – এই ধরনের কথাবার্তা শিক্ষার্থীদের মধ্যেও শোনা যায়।


👉শিক্ষার্থীদের অজ্ঞতা


👉বেশিরভাগ শিক্ষার্থী জানত না:


👉মূল অভিযোগ কী?


👉কাকে অপমান করা হয়েছে?


👉তিনি কীভাবে নিয়ম ভেঙেছেন?



শুধুমাত্র কিছু সিনিয়র শিক্ষার্থীর কথা শুনে, তাদের ফেসবুক পোস্ট দেখে জুনিয়ররা আন্দোলনে যোগ দেয়। পরে যখন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে, তখন সুনির্দিষ্ট কোনো লিখিত অভিযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

                                           

সংবাদ সূত্রের উল্লেখ


প্রথম আলো (ডিসেম্বর ২০২৩):


> “শিক্ষার্থীদের একাংশ জানিয়েছে, তারা আন্দোলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানে না, শুধু সিনিয়র আপুরা বলেছে তাই এসেছে।”




যুগান্তর (ডিসেম্বর ২০২৩):


> “অভিযোগের প্রমাণ না পেলেও আন্দোলন থামানো যায়নি। শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত ছিল।”




কালের কণ্ঠ (ডিসেম্বর ২০২৩):


> “মুরাদ স্যারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবক মহলের।”


                                         


📌আমাদের সমাজে এর প্রভাব


এই ঘটনা প্রমাণ করে, আজকের শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা দেখে, না বুঝেই বিশ্বাস করে। আন্দোলন বা প্রতিবাদ অবশ্যই গণতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু সত্য মিথ্যা যাচাই না করে আন্দোলন সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং অনেক নির্দোষ মানুষের জীবন নষ্ট করে দেয়। শিক্ষক মুরাদও সেই অন্যায়ের শিকার।


📌শেষ কথা


একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে সেটির যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। শুধু রাজনৈতিক পরিচয় বা বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া অন্যায়। ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শিক্ষা দেয় – যাচাই না করে কিছু বিশ্বাস করা, বিশেষ করে শিক্ষাজীবনে, নিজের ও সমাজের জন্যই ক্ষতিকর।

                                         

কোন মন্তব্য নেই