ইউনুসের নোবেল: দারিদ্র্য বিমোচন না শোষণের বৈধতা?
বিশেষ প্রতিবেদন | ঢাকা
গরিবদের ভাগ্য বদলানোর নোবেলজয়ী হিসেবে পরিচিত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের মাইক্রোক্রেডিট পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে সমালোচনা উঠেছে। অভিযোগ, তিনি গরিব মানুষকে ক্ষুদ্রঋণের মায়াজালে ফেলে দিনশেষে তাঁদেরকে দাসে পরিণত করছেন। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, ইউনুসের এই পদ্ধতি দারিদ্র্য ঘোচায় না, বরং তাঁদেরকে হতদরিদ্র অবস্থায়ই চিরস্থায়ী করে রাখে।
ঋণের ফাঁদে বন্দি হাজারো পরিবার
ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের পর উচ্চ সুদ ও পুনর্গঠিত কিস্তির চাপে পড়ে দেশের গ্রামীণ এলাকার অনেক পরিবার নিজেদের স্বপ্ন আর সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলছে। সামান্য মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে লাভ তো দূরের কথা, খরচের চাপে নতুন ঋণ নিতে হচ্ছে তাঁদের। এতে একসময় তাঁরা ঋণের দাসে পরিণত হন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একধরনের ‘দারিদ্র্য-শোষণ চক্র’, যা পুঁজিবাদী প্রফিট মডেলের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
অনেকের মতে, ইউনুসের নোবেল আসলে এই শোষণের মডেলকে বৈধতা দেয়। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এই মডেলের বাস্তব রূপ ভিন্ন। ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকরা বলেছেন, ঋণ শোধ করতে গিয়ে তাঁদের ঘরের চাল, গরু এমনকি বসতভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।
জনমত ও প্রশ্ন
সামাজিক মাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, “যেখানে ঋণমুক্তি নয়, বরং ঋণের শৃঙ্খলই দৃঢ় হচ্ছে – সেটিকে কিভাবে উন্নয়ন বলা যায়?” বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকৃত অর্থে ক্ষুদ্রঋণ নয়, প্রয়োজন দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থান, উৎপাদনমুখী উদ্যোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী।
ফেসবুকে শেয়ার করুন
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন