মিডফোর্ডের খুন: বিএনপির 'জিরো টলারেন্স' নাকি দোষ ঢাকার রাজনীতি?
 |
ছবি: সংগৃহীত |
মিডফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী সোাহগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আবারও প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর লুকোচাপা, দোষ ঢাকার নোংরা সংস্কৃতি।
শুক্রবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “সিরিয়াস ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দোষ চাপানো নোংরা রাজনীতি।” কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেনো বারবার বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে?
যুবদল যাদের বহিষ্কার করেছে:
- রজ্জব আলী পিন্টু – সাবেক সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক
- সাবাহ করিম লাকি – ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক
দল বলছে, “আমাদের জিরো টলারেন্স। অপরাধীকে কোনো প্রশ্রয় নেই।”
তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় –
- ✅ যদি আসলেই জিরো টলারেন্স নীতি থাকতো, তাহলে কেনো এতো বছর ধরে এই নেতাদের দলে রাখা হলো?
- ✅ কেনো খুনের মতো জঘন্য ঘটনায় দলের নামই বারবার আসছে?
- ✅ বহিষ্কারের পর কি দল দায়মুক্তি পায়?
- ✅ বহিষ্কার করা কি শুধুই ‘দল বাঁচানোর স্টান্ট’?
বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন দেখছে, কোনো নেতা অপরাধ করলে প্রথমে দল বিবৃতি দেয়, দোষ ঝেড়ে ফেলে, তারপর আজীবন বহিষ্কার – যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো এই খুনের দায় কে নেবে?
বিএনপির বক্তব্য ও বাস্তবতা
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বিএনপির ওপর দায় চাপানো নোংরা রাজনীতি।” কিন্তু এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে আছে দায় এড়ানোর চেষ্টা। যাদের বহিষ্কার করা হলো, তারা তো এতদিন বিএনপিরই পদধারী ছিলেন। দল তখন কেনো বোঝেনি তাদের চরিত্র কেমন?
যুবদল বিবৃতিতে বলেছে, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শৈথিল্য না দেখিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলছি।” প্রশ্ন হলো – আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এত আহ্বান যখন, তখন বিএনপিই বা এতদিন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কেনো?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা
- অপরাধী জন্মায় দলের ছত্রছায়ায়।
- অপরাধ করলে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলা হয়।
- শেষে বহিষ্কার করে ‘পবিত্রতা’ দেখানো হয়।
এভাবেই চলে দলগুলোতে দোষ ঢাকার নোংরা রাজনীতি। যেখানে খুনের বিচার নয়, মুখরক্ষাই বড় কথা। যেখানে নেতা বাঁচাতে, দলের ইমেজ রক্ষা করতেই মানুষের প্রাণের চেয়ে দলীয় বিবৃতির দাম বেশি।
🔻 এই ব্লগের মূল বার্তা:
মিডফোর্ডের খুনের জন্য যেই দায়ী হোক, রাজনীতির আসল খুনিরা হলো এই ‘দোষ ঢাকার সংস্কৃতি’ যারা আজীবন বাংলাদেশে অপরাধের নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করে রেখেছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন