মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা: ধ্বংসাবশেষ সরানোর সিদ্ধান্ত কি ন্যায়সঙ্গত?
আজ (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি F‑7 BGI প্রশিক্ষণ বিমান রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক।
দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ – শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছিল, হঠাৎ ভয়ঙ্কর শব্দ, আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী দ্রুত উদ্ধার কাজে নামলেও ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় শোক ঘোষণা করে "সম্পূর্ণ তদন্তের" অঙ্গীকার করেছেন।
😡 রাষ্ট্রীয় অবহেলার বড় উদাহরণ
এটি কি শুধুই একটি দুর্ঘটনা? নাকি রাষ্ট্রীয় SOP ও জননিরাপত্তা নীতির চরম ব্যর্থতা? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান কখনো ঘনবসতিপূর্ণ স্কুল-কলেজ এলাকার উপর দিয়ে ফ্লাইট করতে পারে না। তবুও কেন অনুমোদন দেওয়া হলো?
🔥 ধ্বংসাবশেষ সরানোর সিদ্ধান্ত – নিন্দনীয়
News24 জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ দ্রুত সরানো হচ্ছে। এটি রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ না প্রমাণ ধ্বংস – কোনটি?
এর ফলে:
- দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ব্যাহত হবে।
- দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ কঠিন হয়ে পড়বে।
- জনমতের আস্থা বিনষ্ট হবে।
📢 জনগণের দাবি
আমরা চাই:
- স্বচ্ছ তদন্ত ও ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণ
- ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা
- নতুন ফ্লাইট নীতি ও জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করা
🔒 রাষ্ট্রের আইনি ও মানবিক দায়
আইনি তদন্ত ও সামাজিক মনোযোগ ছাড়া কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির উচিত সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং জনগণকে জানানো।
✊ উপসংহার: প্রমাণ না সরিয়ে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করুন
ধ্বংসাবশেষ সরানো যায়, কিন্তু ইতিহাস ও জনগণের বিশ্বাস সরানো যায় না।
আহ্বান: শান্তিপূর্ণ, তবে জোরালো প্রতিবাদ ও তদন্তের দাবি জানান। কারণ জনগণ সচেতন থাকলেই ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
🔗 সূত্র:
📣 আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করুন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন