আবরার-আবু সাঈদকে হাতিয়ার বানিয়ে রাজনীতির ফায়দা লুটছে এনসিপি
![]() |
ছবি সংগ্রহীত |
কুষ্টিয়ায় পদযাত্রার পথসভায় নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির রাজনীতি স্পষ্ট করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে মাইলফলক ছিলেন। অথচ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আবরারের মৃত্যু ও আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে পুঁজি করেই মূলত দেশের মানুষের আবেগকে (ব্যবহার) করছে এই দলটি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে এক পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, “আবরারের মৃত্যু বাংলাদেশি রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সেই পথেই আমরা রাজনীতি করছি।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এই কথাতেই প্রমাণিত – শহীদদের নাম ভাঙিয়ে তারা নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং অন্যান্য নেতারা। অথচ বক্তৃতা ও তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আবরার-আবু সাঈদের মত শহীদদের উদ্দেশ্য ও স্বপ্নকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
এর আগে বেলা ১টায় কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করে নিজেদের ‘দেশপ্রেমিক’ ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালায় তারা। পরে জুলাই পদযাত্রার নামে রাজনৈতিক প্রচারণা শুরু হয় কুমারখালী থেকে কুষ্টিয়া শহর অভিমুখে।
প্রশ্ন উঠেছে – শহীদদের রক্তে কেন এই নোংরা রাজনীতি? মানুষের মন জয় করতে বারবার শহীদদের নাম ব্যবহার করে কীসের রাজনীতি করছে এনসিপি? জনসাধারণ বলছে, “এভাবে দেশের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আবরার ও আবু সাঈদকে বাঁচিয়ে তাদের রক্তকে নিলামে তোলা হচ্ছে।”
এনসিপির এই পদযাত্রা শেষ হয়েছে কুষ্টিয়ায়। পরে তারা মেহেরপুরের দিকে রওনা হয়। তবে সচেতন মানুষ মনে করছেন, আবরার-আবু সাঈদের নামে রাজনীতি করে আসলে তারা তাদের স্বার্থের যুদ্ধেই ব্যস্ত।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই রংপুর থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শহীদদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নয়, বরং তাদের নামেই রাজনীতির ফায়দা লুটতে ব্যস্ত ছিল এনসিপি।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন