Home Top Ad

banner

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার দাপটে লাশ! রাষ্ট্র চুপ কেন?

Share:
উপদেষ্টা আসিফের বাবার দাপটে তিন পরিবার উৎখাত

উপদেষ্টা আসিফের বাবার দাপটে মুরাদনগর ছেড়ে পালাল তিন পরিবার

একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় গৃহহীন হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে কুমিল্লার মুরাদনগরের একাধিক পরিবারকে — কারণ, তারা প্রতিবাদ করেছে অপরাধের বিরুদ্ধে।

গত ৩ জুলাই, বাঙ্গরা বাজারের কড়াইবাড়ীতে রিক্তা আক্তার নিজের চোখের সামনে হারান তার মা, ভাই ও বোনকে। কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। গুরুতর আহত ছোট বোন রুমা হাসপাতালের আইসিইউতে। এমনকি ১১ মাস বয়সী শিশু রাইসাও হামলার শিকার হয়।

প্রশ্ন উঠেছে: ভুক্তভোগীরা পালিয়ে বেড়াবে, আর খুনিরা ঘুরে বেড়াবে নিরাপদে? রাষ্ট্র কোথায়?

রিক্তার দাবি, মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শিমুল বিল্লাহ, এবং তারা আশ্রয় পেয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পিতা বিল্লাল হোসেনের কাছে। তাই পুলিশ তাদের স্পর্শও করছে না!

শুধু এটুকু না। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, সেই একই ইউনিয়নের শিখা রানী নামের এক সাহসী নারী শিক্ষককে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে গ্রাম ঘোরানো হয়। ভিডিও এখনো ঘুরে বেড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযুক্তদের মধ্যে আবার সেই বিল্লাল হোসেনও আছেন, যিনি এখন উপদেষ্টার পিতা।

তার "অপরাধ" ছিল ২০১৪ সালে স্কুলের দুর্নীতির প্রতিবাদ করে এই বিল্লালকে অপসারণে ভূমিকা রাখা। এখন আসিফ উপদেষ্টা হওয়ায় তার বাবার প্রতিহিংসা যেন অপ্রতিরোধ্য।

মোহাম্মদ আলী নামের এক সাবেক স্কুল সভাপতি বলেন, ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রমাণ থাকার পরও এখন উল্টো তাকেই পুলিশ দিয়ে ধরে রিমান্ডে নির্যাতন চালিয়ে ৩০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকেও তাকে দূরে থাকতে বাধ্য করা হয়।

অর্থাৎ, যারা অপরাধ উন্মোচন করে, তারাই শাস্তি পায়! তাহলে প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা ও আইনের কাজ কী?

এই সমস্ত অভিযোগ সরাসরি উঠেছে আসিফ মাহমুদের পিতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মৎস্যচাষী দুলাল চন্দ্রও অভিযোগ করেছেন তার পুকুর ও গাছ দখলের ঘটনা নিয়ে।

অভিযোগের জবাবে বিল্লাল হোসেন বলেন, “শিমুল আমার বন্ধু, ছবি ছড়ালেই দোষ প্রমাণ হয় না।” অথচ কেউ প্রশ্ন করেনি ছবির সময়, বরং প্রশ্ন উঠছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ নিয়ে।

তিনি বিএনপিকে দোষারোপ করে বলেন, “আমরা প্রমাণ চাই, না হলে মানহানি মামলা করব।” কিন্তু সত্য প্রমাণ হয় ভুক্তভোগীর কান্নায়, লাশের স্তূপে এবং নির্যাতিতদের গলায় ফাটল ধরা চিৎকারে

🔴 জনগণের পক্ষ থেকে দাবি 🔴

  • ✔️ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন
  • ✔️ ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা দিন
  • ✔️ উপদেষ্টার পরিবারের ভূমিকা তদন্ত করুন
  • ✔️ প্রতিহিংসার শিকারদের ক্ষতিপূরণ দিন

❗ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিবাদ জরুরি। রাষ্ট্র যদি চোখ বন্ধ রাখে, তবে মানুষ একদিন নিজেই জেগে উঠবে।

“ভয় নয়, প্রতিরোধই একমাত্র পথ”

কোন মন্তব্য নেই